ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও চার সন্তানের জননী রোকেয়া

জিয়াউল হক. জিয়া, ডুলাহাজারা ::  চকরিয়ার সীমাবর্তী পার্বত্য লামার ফাঁসিয়াখালী ইউপিতে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার নিয়ে অবিবাহিত ছেলে লুতু মিয়ার হাত ধরে চার সন্তানের জননী রোকেয়া বেগম উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

গত ৩ মে (বৃহস্পতিবার) শাশুড় বাড়ী থেকে বাপের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

ভূক্তভোগি স্বামী ও অভিযোগের বাদী মোঃ হোছন (৪৬) ফাঁসিয়াখালী ইউপির ২নং ওয়ার্ডের পাগলির আগা (চৌদ্দ নম্বর) এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।
এদিকে উধাও মোঃ হোছনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৬) একই এলাকার মৃত শামসুল হকের মেয়ে।

অভিযোগের বাদী মোঃ হোছন প্রতিকার চেয়ে ১৩ জুন (সোমবার) ফাঁসিয়াখালী গ্রাম আদালতে একখানা অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন।

অভিযোগের বাদী জানান,আমার স্ত্রী রোকেয়া বেগম গত ৩মে তার বাপের বাড়ীতে বেড়াতে যান।পরে আমার অজান্তে একই এলাকার মৃত পেঠানের অবিবাহিত ছেলে লুতু মিয়ার হাত ধরে ছেলেটির মা আমেনা খাতুন ও ভাই আবুল কালামের সহযোগিতায় অন্যত্রে পালিয়ে য়ায।এ খবরটি জানতে পেরে আমি শাশুড় বাড়ীতে গেলে,আমার স্ত্রী ভাইয়েরা,আমার চার ছেলে সন্তানদের আমাকে দিয়ে দেয়।তারা বলে রোকেয়া আমাদের অজান্তে রাতে কোথায় গেছে জানিনা।পরে আমি আমার অবুঝ শিশু সন্তানদের নিয়ে নিজবাড়ীতে চলে আসি।এরপর আমার ঘরে সংরক্ষিত রাখা আলমিরার তালা ভেঙ্গে চেক করে দেখি,আমার জায়গা জমি বিক্রির সাড়ে ৫লাখ টাকা,প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ ৪ভরি স্বর্ণালংকার নেই,রোকেয়া নিয়ে যায়।সুতরাং দীর্ঘদিন খোজাঁখুজির পরে ছেলেটিকে তাদের বাড়ীতে এসেছে খবর পায়।তখন আমি সহ এলাকার ২/১ সমার্জ সর্দা নিয়ে ছেলেটির বাড়ীতে গিয়ে তাকে ডেকে স্হানীয় পরিষদে নিয়ে আসি।
পরিষদে গেলে সরাসরি চার সন্তানের জননী নিয়ে উধাও ছেলে লুতু মিয়ার সাথে কথা হয়।এসময় লুতু মিয়া বলেন, রোকেয়া বেগমকে আমি গত ১৩মে বিয়ে করি।কিন্তু ১২মে সে তার আগের স্বামী হোছনকে তালাক প্রদান করেছে।তবে আমি স্ত্রী রোকেয়া থেকে কোন টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকার নেয়নি।আমার দুঃখ হল,আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না দিয়ে আমাকে বাড়ী থেকে ধরে পরিষদে নিয়ে এসেছেন।এতে আমার দোষ কি? বিচার চাই!

পাঠকের মতামত: